A mini Bangladesh in Peking University

A mini Bangladesh in Peking University

বেইজিং(পিকিং) বিশ্ববিদ্যালয়ে এক টুকরো বাংলাদেশ

বাংলাদেশী স্টলে বেইজিং এর বিভিন্ন বিশ্যবিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রী বৃন্দ


 গত ২৯ অক্টোবর  চীনের  বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয় যেন হয়ে উঠেছিল একটি ছোট বাংলাদেশ।



বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ১৪ তম আন্তজার্তিক সংস্কৃতিক উৎসব ২০১৭  বিশ্বের প্রায় ৮০ টি দেশের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে। বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন কারী দেশসমূহ তাদের নিজস্ব ,ভাষা,ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কে সবার সামনে  তুলে ধরার চেস্টা করে

বাংলাদেশকে  সবার  সামনে তুলে ধরতে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন  জাতীয় বিষয়াবলী, বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব,   ঐতিহাসিক স্থাপনা, ঐতিহ্য সংস্কৃতি কে বিভিন্ন পোস্টারের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। এছাড়া পাটচামড়াজাত পন্য, দেশীয় পোষাক,নারীদের অলংকার,  নকশী কাথা জামদানী শাড়ী  প্রদর্শণীর ব্যাবস্থা করা হয়। সাথে পুরো সময় জুড়ে ছিল নারীদের টিপ, মেহেদী লাগানোর ব্যাবস্থা। বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ স্টলে আগত সবাইকে বাংলাদেশ এর মানচিত্র,জাতীয় পতাকা খচিত স্টিকার উপহার দেওয়া হয়।

এছাড়া বিভিন্ন দেশ তাদের সংস্কৃতি উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের নাচ,গান সহ বিভিন্ন স্টেজ পারফর্মেন্স  অংশগ্রহন 
রেন  বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স  অধায়ন রত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অর্পিতা ঐশ্বর্য রবীন্দ্র সংগীত এর সাথে নৃত্য
পরিবেশন করেন।

ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সহ প্রায় ৪৫ টি দেশের ছাত্র ছাত্রীরা তাদের নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশেন করেন। বাংলাদেশী  খাবার হিসেবে খিচুড়ি,গরুর মাংস ভূনা, বিরিয়ানি, গাজরের হালুয়া, দুধ চা এবং পায়েস দিয়ে সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। বাংলাদেশের খাবার স্টলে ছিল উপচে পড়া ভিড়।


  ব্যপারে বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অধ্যায়নরত ছাত্র মেহেদী হাসান সানী বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এখানে একটি গ্লোবাল ভিলেজ এর সৃষ্টি হয়েছে, বিশ্বের সামনে নিজেদের দেশ,দেশীয় ঐতিহ্য,সংস্কৃতি উপস্থাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব কর্তব্য এবং ধরনের কাজের মধ্যে একধরনের ভালবাসা কাজ করে,পাশাপাশি এখানে  আমাদের  গর্বের একটা বিষয় আছে  

 তিনি বলেন, আমরা বেইজিং  বাংলাদেশের যারা রয়েছি তারা চেষ্টা করে যাচ্ছি বাংলাদেশকে চীন তথা পুরা বিশ্বের  সামনে তুলে ধরতে। ব্যপারে সবাই,বিশেষ করে চিনা নাগরিক রা বেশ  আন্তরিক।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যাচেলর এ মেহেদী হাসান সানী। মাস্টার্স এ অর্পিতা ঐশ্বর্য, সায়েদুল হাসান চৌধুরী, শামীর হাসান এবং  পি এইচ ডি তে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর সহযোগী অধ্যাপক এরশাদ আলী লস্কার, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা,  বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার( সমাজবিজ্ঞান ) ইশিতা অন্তরা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রভাষক আজিজুর রহমান অধ্যায়নরত উল্লেখ্য যে এটি চীনের ১ নম্বর এবং বিশ্বের প্রথম সারীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়।  

Comments

Popular Posts